খুলনা সদর থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মোল্লা ফরিদ আহমেদের বিরুদ্ধে জারি করা আটকাদেশের বৈধতা নিয়ে করা রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট একটি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত দিয়েছে। আদালত সেই আটকের ওপর তিন মাসের জন্য স্থগিতাদেশ দিয়েছেন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে রুলের জবাব দিতে চার সপ্তাহের সময় নির্ধারণ করেছেন। মোল্লা ফরিদ আহমেদ খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ১ নম্বর স্যার ইকবাল রোডের বাসিন্দা।
তিনি চলতি বছরের ৩ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক শাখা-২ এর স্বাক্ষরিত একটি আদেশে বিশেষ ক্ষমতা আইন, ১৯৭৪ এর ৩(১) ধারায় ৬০ দিনের জন্য আটক হন। এরপর তিনি সংবিধানের ১০২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন (নং ১৫৮৪০/২০২৫) দায়ের করেন। এই রিট শুনানি হয় ৬ অক্টোবর বিচারপতি ফরিদ আহমেদ ও বিচারপতি মাহমুদ হাসান দ্বারা গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে। আবেদনকারীর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন এড. মোঃ ওজি উল্লাহ ও তাসেব হোসেন, আর প্রস্থে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আখতার হোসেন, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল রাশেদুল হক ও মন্টু আলম।
আদালত রুল জারি করে সরকারকে জিজ্ঞেস করে কেন মোল্লা ফরিদ আহমেদের আটকাদেশ আইনগত বৈধতা থাকবে না বা বন্দি রাখা অযৌক্তিক হবে না, তার ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য। একইসঙ্গে নির্দেশ দেওয়া হয়, রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত মোল্লা ফরিদ আহমেদকে আটক বা হয়রানি করা যাবে না। এই সিদ্ধান্তে আইনজীবীরা আর সাধারণ মানুষরা শান্তি ও স্বস্তি পেয়েছেন, এটি সত্যিই একটি সাহসী এবং ন্যায়সংগত রায় বলে মনে করা হচ্ছে।
Leave a Reply